নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | প্রিন্ট
শাহরুখ খান-কাজলের জুটি বলিউডের অন্যতম সেরা অনস্ক্রিন জুটি। রোমান্স কিংয়ের সঙ্গে অভিনেত্রীর রসায়ন সব সময়ই ছিল আলোচিত বিষয়। এখনো সিনেমাপ্রেমীরা শাহরুখ-কাজলের জুটি বেঁধে সিনেমার অভিনয় দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে দুজনের প্রেম নিয়েও ছিল জল্পনা। শুরু কী তাই বিষয়টি অজয় দেবগনকেও বিরক্তিতে ফেলেছিল। সেসময় সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। যোগাযোগের মাধ্যম বলতে ওই ই-মেইল। সেখানেই অজয়ের কাছে একের পর এক বার্তা দিতেন শাহরুখ-কাজলের ভক্তরা।
কী থাকত সেই বার্তায় জানলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও। সেটি হলো অজয়-কাজলের বিবাহ-বিচ্ছেদ চাইছেন তারা। বিষয়টি অস্বস্তিতে ফেলেছিল অজয়কে। একদিকের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার গুঞ্জন। আরেক দিকে একের পর এক ই-মেইল বার্তা চিন্তায় ফেলেছিল অজয়কে। তিনিও আর চাননি শাহরুখের সাথে কাজল অভিনয় করুক।
অন্যদিকে প্রযোজক-পরিচালকরা এই জুটিকে নিয়ে কাজের ব্যাপারে সব সময় আগ্রহ দেখাতেন। কারণ তাদের নিয়ে সিনেমা নির্মাণ মানেই নিশ্চিত বক্স অফিসে কাড়ি কাড়ি টাকা আয়। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহরুখ খান ও কাজলের একটি ছবির প্রস্তাব গ্রহণের কথা ভাবছিলেন। শাহরুখ নিজে অজয়ের কাছে কাজের অনুমতি নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই যাত্রায় খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে। স্ত্রীকে সেই কাজটিতে অনুমতি দেননি অজয়।
অজয় জানিয়েছিলেন, দর্শকরা শাহরুখ ও কাজলকে একসঙ্গে দেখতে পছন্দ করেন। কিন্তু সেটি কোথাও গিয়ে মানতে পারছিলেন না তিনি। ই-মেইল খুলেই দেখতে হতো, অসংখ্য ভক্তের অনুরোধ তারা যেন বিবাহ-বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। দর্শকদের কাছে এই জুটিকে নিয়ে আলাদা আবেগ তৈরি হয়েছে, যেটি কি না অজয় ও কাজলের সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ফলে অজয় সিদ্ধান্ত নেন শাহরুখ ও কাজল একসঙ্গে কাজ করবেন না। তবে নিজের সিদ্ধান্ত ধরে রাখতে পারেননি অজয়। ফলে অপেক্ষা দীর্ঘ হলেও তারা একসঙ্গে পর্দায় ফেরেন।
অন্যদিকে শাহরুখ খান জানান, দর্শকরা কত কিছুই বলে থাকে। সেটি কখনোই পেশাগত জীবনে প্রভাব ফেলতে দেওয়া যাবে না। অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। ফলে শাহরুখ ও অজয়ের মধ্যে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল, সেটি পরবর্তীতে মিটে যায়। কাজল দুজনের সঙ্গে কাজ করতে থাকেন। নির্মিত হয় ‘দিলওয়ালে’। এই সিনেমাটিও বক্স অফিসে ব্যবসা সফল হয়।
Posted ০৮:৫৭ | মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain